বিনোদন ডেস্ক
চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে শো-রুম উদ্বোধনে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ‘ব্যবসায়ী-তাওহীদি জনতার ব্যানার’ নামে একদল মানুষের বাধার মুখে সেখানে আর যাননি তিনি। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে অভিনেত্রীর নিজ শহরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের আর এস রোডে ‘খুকি লাইফস্টাইল’ নামে একটি ব্র্যান্ড শপ উদ্বোধনের কথা জানিয়ে গত ২৯ অক্টোবর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে মেহজাবীন চৌধুরী। এ সময় চট্টগ্রামের সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগের কথা বলেন তিনি। তার এই ঘোষণার পর শহরজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। মেহজাবীনকে দিয়ে দোকান উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয় রিয়াজউদ্দিন বাজার সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও তাওহীদি জনতার ব্যানারে। এই ব্যানারটি রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করেন। যেখানে লেখা ছিল, চিত্রনায়িকা মেহজাবিন চৌধুরীকে দিয়ে শোরুম উদ্বোধনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শোরুম কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, ব্যবসায়ী ও তাওহীদি জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। খুকি লাইফস্টাইল শোরুমের ব্যবস্থাপক ইমদাদ হোসেন বলেন, অভিনেত্রী মেহবাজীনকে দিয়ে আমাদের শোরুম উদ্বোধনের কথা ছিল। সেই মতো আয়োজনও ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যার কারণে উনি আসতে পারেননি। ওনাকে ছাড়াই উদ্বোধন অনুষ্ঠান করেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াকুব বলেন, খুকি লাইফস্টাইল উদ্বোধনে দাওয়াত পেয়েছিলাম। কাজ থাকায় যেতে পারিনি। ব্যবসায়ী ও তৌহিদী জনতার বাধার মুখে মেহজাবীন উদ্বোধন করতে পারেননি শুনেছি। এদিকে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রীকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার অনুরাগীরা। এ বিষয়ে মেহজাবীন রাতে একটি ফেসবুক পোস্টে জানান তিনি ভালো আছেন।
মেহজাবীন লিখেন, আমার সকল বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য। আমি ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছি এবং নিজের বাসায় আছি, চিন্তার কিছু নেই। চট্টগ্রামে একটি শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিমানবন্দর থেকে শোরুমে যাওয়ার পথে শুনলাম যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হয়েছে। তাই আয়োজক এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নিরাপত্তার অভাবে আমরা শোরুমে যাবো না। আমরা তখনই গাড়ি ঘুরিয়ে বিমানবন্দরের দিকে ফিরে যাই এবং ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেই। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য।
Leave a Reply